CLEAR ইনসাইটসে আমরা মানুষের কথা শুনি।
সারা বিশ্বের মানুষেরা কোন ভাষায় কথা বলে, কোন ভাষা পছন্দ করে এবং বোঝে সে সম্পর্কে আশ্চর্যজনকভাবে তেমন কোনও তথ্য নেই। সেই সাথে
তারা তথ্যের কোন উৎসগুলো বিশ্বাস করে সে সম্পর্কে তথ্যের পরিমাণ আরও কম। এই কারণে মানবিক সহায়তা সংস্থা, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য যোগাযোগকারীদের জন্য উপযুক্ত ভাষা, মাধ্যম এবং ফর্ম্যাটে তথ্য শেয়ার করা কঠিন হয়ে ওঠে।
এবং তাদের পক্ষে মানুষের কথা শোনাও আরও কঠিন করে তোলে। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা গবেষণা ও ডেটা সংগ্রহ করার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী এবং স্থানীয় যোগাযোগের কৌশল উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও পরামর্শ দিতে পারি, যাতে প্রত্যেকের চাহিদা বিবেচনায় রাখা নিশ্চিত করা যায়।
"যেসব মানুষ প্রান্তিক ভাষায় কথা বলেন, তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জীবন রক্ষাকারী তথ্য পান না। উপরন্তু, প্রায়ই বিভিন্ন সংস্থার পক্ষে এই প্রান্তিক ভাষাভাষী মানুষদের মতামত কার্যকরভাবে সংগ্রহ করা এবং তাতে সাড়া দেওয়া সম্ভব হয় না।"
Canadian Red Cross
ভাষা সম্পর্কিত তথ্যে ফাঁক
যেহেতু মানুষ কোন ভাষায় কথা বলে এবং বোঝে সে সম্পর্কে খুব কম তথ্য পাওয়া যায়, মানবিক সহায়তা সংস্থা এবং অন্যান্য বৈশ্বিক যোগাযোগকারীরা প্রায়ই ধরে নেন যে প্রাক্তন ঔপনিবেশিক ভাষা ব্যবহার করাই “যথেষ্ট”।
কিন্তু বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং নাইজেরিয়ার মতো জায়গায় আমাদের গবেষণায় আমরা দেখেছি যে প্রায় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভাষা ব্যবহার করলে, তথ্য সকলের কাছে পৌঁছায় না। প্রায়ই মানুষের মনে হয় যে তাদের নিজের এবং তাদের পরিবারের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত তথ্য নেই।
এই পদ্ধতি মানুষের অসহায়তা আরও বাড়িয়ে তোলে। নারী, বয়স্ক মানুষ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং
স্বল্প সাক্ষর মানুষরা সাধারণত সেই ভাষাগুলোতে কথা বলেন না যা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ব্যবহার করে।
তারা তথ্য কম পান এবং তাদের নিজেদের উদ্বেগ ও জরুরি চাহিদাগুলো জানানোর তেমন কোনও উপায় থাকে না। তারা যোগাযোগের জন্য তাদের সম্প্রদায়ের অন্যদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষার ব্যাপারে বিবেচনা করা যে কতটা জরুরি, সেই সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে, এবং এই কারণে প্রায়ই দেখা যায় যে ভাষা এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বা সম্পদ বিনিয়োগ করা হয় না।
এর ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছায় না এবং এমন একটা ব্যবস্থা কায়েম হয় যেখানে সেই মানুষদের কথা শোনা বা বিবেচনা করা হয় না যারা কম ক্ষমতাশালী ভাষায় কথা বলেন।
আমরা এটা পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করছি, এবং সেজন্য আমাদের আপনার সাহায্য প্রয়োজন।
ভাষাগত অন্তর্দৃষ্টি ভিত্তিক সমাধান
ভাষা-সচেতন কর্মসূচি এবং পরিষেবাকে তথ্য সরবরাহ করার জন্য আমাদের গবেষণা এবং অ্যাডভোকেসি সংস্থানের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে জরিপ পরিচালনা করেছি, কীভাবে বহু ভাষায় অডিও যোগাযোগকে নাইজেরিয়ায় আরও কার্যকর করা যায় তা নিয়ে গবেষণা করেছি এবং সর্বোচ্চ স্তরে নীতি ও অনুশীলন পরিবর্তনের পক্ষে প্রচার ও অ্যাডভোকেসি করেছি।
এখন, আমরা নিচের কৌশলগুলোর মাধ্যমে মাধ্যমে ভাষা সম্পর্কিত ডেটা এবং গবেষণার ফাঁক পূরণ করার পরিকল্পনা নিয়েছি:
-
মানুষের যোগাযোগের চাহিদা এবং সমস্যাগুলো আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য উদ্ভাবনী গবেষণা পরিচালনা করা,
-
বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ উন্নত করতে বিশ্বের ভাষাগুলোর মানচিত্র তৈরি করা,
-
অপ্রতুল সংস্থান সম্পন্ন ভাষায় যারা কথা বলেন তাদের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য ভাষা প্রযুক্তির শক্তি ব্যবহার করে নতুন গবেষণা এবং ফিডব্যাক ব্যবস্থা তৈরি করা, এবং
-
ভাষা এবং যোগাযোগের চাহিদাকে আন্তর্জাতিক এজেন্ডার শীর্ষে রাখতে মানবিক সহায়তা, উন্নয়ন এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে পার্টনারশিপ গড়ে তোলা।